বিয়ের এক বছর পার না হতেই গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের সংসারে ভাঙন ধরার খবর মিলেছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মেয়ে নাদিয়া নন্দিতা ইসলাম গত তিন মাস ধরে ইমরানের সংসার করছেন না বলে মন্ত্রীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার রাতে বলেন, “প্রায় তিন মাস ধরে ইমরানের সঙ্গে সংসার করছেন না নাদিয়া। নাদিয়ার ইচ্ছেতেই পারিবারিকভাবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়েও বিষয়টি ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈঠকে আলোচনার এক পর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বলা হয়, আপনার জামাই তো বিতর্কিত অবস্থান নিয়েছে। তখন শিক্ষামন্ত্রী বলতে বাধ্য হন যে তার মেয়ে ইমরানের সংসার করছেন না।”
এ বিষয়ে কথা বলতে ইমরানের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নন্দিতার সঙ্গে বিয়ে হয় ইমরানের।
যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর আলোচনায় উঠে আসেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইমরান। তিনি গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্র ইমরান ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ছিলেন।
ইমরানকে গ্রেপ্তারের দাবি
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে ইমরান বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য।
সোমবার সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, “কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে এক ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে ইমরান এইচ সরকার মিথ্যা ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে নাটক সাজানোর চক্রান্ত চলছে। আমরাও ঘরে বসে থাকবো না। প্রতিরোধে নামতে হবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “এখনও ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা কেন করা হচ্ছে না? তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে, আর আমরা ঘরে বসে থাকব না। আর প্রতিবাদ নয়; তাদের প্রতিরোধ করব।”
ইমরানের প্রতি ইঙ্গিত করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “একজন ব্যক্তির ফেইসবুক পেইজে আহত একজনকে নিহত বলে পোস্ট দেওয়া হয়। যিনি মারা গেছেন বলে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়া হল, ওই ব্যক্তি পরে নিজে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি বেঁচে আছেন। আন্দোলনের দাবি যৌক্তিক বা অযৌক্তিক হতে পারে। তবে সহিংসতা যৌক্তিক হতে পারে না।”